Tuesday, September 28, 2021

সুস্থ্য থাকতে যোগ ব্যায়ামঃ

 

যোগ ব্যায়ামঃ

অনেকের মতে যোগ ব্যায়াম হল এমন এক চর্চা  যার মাধ্যমে দেহের নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সঠিক চালনা, যোগাযোগ ও সুস্থতা বজায় থাকে।



যোগ ব্যায়াম হল জীবনের সাথে প্রকৃতির যোগসূত্র খুঁজে পাওয়ার একটি মাধ্যম। তাই বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি ও নিশ্বাস প্রশ্বাসের চালনা দ্বারা প্রকৃতির বাস্তবতাকে শরীরের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়। যোগ ব্যায়ামের দ্বারা প্রত্যেটি ইন্দ্রিয়কে সজাগ করে জগতের সাথে ঘনিষ্টতা আনা সম্ভব হয়। আত্মবিশ্বাস ও সাত্ত্বিকতা খুঁজে পাওয়ার জন্যে যোগাসন করা খুবই প্রয়োজনীয়।


 উপকারিতা -

  যোগাসন আমাদের পেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ—যেমন পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত্র, যকৃৎ কার্যকর করে। ফলে হজমশক্তি উন্নত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। *চাপ দূর করতে যোগাসনের বিকল্প নেই। *শরীরের রক্তসঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে যোগাসন, যার ফলে অভ্যন্তরীণ শক্তিপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে আমরা কর্ম–উদ্যমী হয়ে উঠি।

যোগাসনের অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য উপকারিতা 

অভ্যন্তরীণ ভাবে স্বাস্থ্যের উপকারিতা প্রদান করতে যোগাসনের ভূমিকা প্রবল। রক্ত সঞ্চালন থেকে শুরু করে শরীরের যেকোনো ব্যাথা বা কষ্ট কমাতে যোগ ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। আপনি যদি নিয়ম করে ২ মাস যোগাসন চর্চা করেন তাহলে অনায়সে শরীরে পরিবর্তন অনুভব করতে পারবেন।

 রক্ত সঞ্চালন:

যোগাসনের সাহায্যে শরীরে অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি সঠিকভাবে প্রবেশ করে। তাই রক্ত সঞ্চালন  সঠিকভাবে বজায় রাখা যায়। এর ফলে সমস্ত অঙ্গগুলি ঠিক করে কাজ করে ও ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আসে।

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে:

প্রতিদিন নিয়ম করে যোগাসন করলে রক্ত সঞ্চালন ও অক্সিজেনের সঠিক চালনা হওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ কমে আসে। এতে শরীর ঠাণ্ডা হয়।

শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যা কমাতে:

হাঁপানির টান বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে  যোগাসন করার অভ্যেস করুন। এতে ফুসফুসের কার্যকারিতা ধীরে ধীরে সঠিক ছন্দে আসে ও আরাম পাওয়া যায়।

গ্যাসের জন্যে ভাল:

প্রতিদিন যোগাসন করলে হজম ক্ষমতা বেড়ে যায় যার ফলে গ্যাসের সমস্যা সহজে সমাধান হয়। এছাড়া পেটের অন্যান্য সমস্যাও নিরাময় হয়।

 ধৈর্য্য শক্তি বাড়ে:

শরীরের নানারকমের ব্যাথা কমানো ছাড়াও, মস্তিস্ক শান্ত করতে সাহায্য করে যোগাসন। এর ফলে ধৈর্য্য ক্ষমতা বাড়ে ও মনের শান্তি বজায় থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে:

যোগাসন অভ্যাসের সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার যোগাযোগ রয়েছে। যোগাসনের সাহায্যে শরীরের কোষগুলি নষ্ট হওয়া রোধ করা যায় ও শরীর ধীরে ধীরে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ফিরে পায়।

 কোলেস্টরল কমে আসে: 

যোগাসনের ফলে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে ও রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। এই সব কিছুর কারণে কোলেস্টরল অনায়াসে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ও ভালো কোলেস্টরল উৎপন্ন করা যায়।

পিঠে ব্যাথা কমায়:

পিঠে ব্যাথা কমাতে দারুণ উপকারিতা প্রদান করে যোগাসন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট পিঠ সোজা করে পদ্মাসন করলে খুব শিগ্রই পিঠের ব্যাথার উপশম হয়।

No comments:

Post a Comment

পেপ গার্দিওলার সিটি অধ্যায়ঃ

 পেপ গার্দিওলা সিটি অধ্যায়ঃ বর্তমান বিশ্বের ক্লাবগুলোর সেরা কোচদের তালিকা করলে সেখানে গার্দিওলা থাকবেন উপরের সারিতেই। তার কোচিং ক্যারিয়ারে ...