Thursday, September 30, 2021

বাংলার ঐতিহাসিক খেলাঃ

 বাংলার ঐতিহাসিক খেলঃ


হাডুডু খেলাঃ বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলার পোশাকি নাম কাবাডি। ... পুরো দক্ষিণ এশিয়াতে কাবাডি প্রচলিত থাকলেও এর উৎপত্তি স্থল পাঞ্জাব। কাবাডির উৎপত্তি সম্পর্কে আরেকটি মত হচ্ছে, মহাভারতে বর্ণিত অভিমন্যু কর্ত্তৃক কৌরব সৈন্যদের চক্রব্যুহ ভেদ করার ব্যর্থ চেষ্টার ঘটনা থেকে ধারণা নিয়ে এ খেলার সৃষ্টি হয়।


নিয়ম কানুনঃ

১ নং নিয়ম: খেলা শুরুর আগে দু’দলের অধিনায়কের উপস্থিতিতে রেফারি কয়েন দ্বারা টস করবেন। টস জয়ী অধিনায়ক কোর্ট পছন্দ বা বিপক্ষের কোর্টে রেইড করার যে কোন একটিবেছে নেবেন। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে কোর্ট বদল হবে এবং যে দল প্রথমে রেইড করেনি তারা রেইড করার সুযোগ পাবে। প্রথমার্থে খেলা শেষে উভয় দলের যে একজন খেলোয়াড় বেঁচেছিল কেবল তারাই খেলায় অংশ নেবে। অর্থাৎ যারা আউট হয়ে সিটিং ব্লকে বসেছিল তারা আউট খেলোয়াড় হিসেবে বসে থাকবে।

২ নং নিয়ম: কোন খেলোয়াড় মাঠের বাউন্ডারির বাইরের ভূমি স্পর্শ করলে তাকে ’আউট’ বলে ধরা হবে। কিন্তু ষ্ট্রগলের সময় কোর্টেও বাইরের ভূমি স্পর্শ করলেও যদি তার শরীরের কোন অংশ সরাসরি সীমানার মধ্যে অবস্থিত কোন খেলোয়াড়কে বা ভূমি স্পর্শ করে তবে তিনি আউট হবেন না।

৩ নং নিয়ম: খেলা চলাকালে কোন এ্যান্ট্রি সীমানার বইরে চলে গেলে তিনি আউট হবেন। রেফারি বা আম্পায়ার তাকে তখনি কোর্টের বাইরে যেতে নির্দেশ দেবেন এবং জোরে তার নম্বর উচ্চারণ করে তাকে আউট ঘোষণা করবেন। তখন রেইড চলতে থাকলে এজন্য তিনি কোন বাশিঁ বাজাবেন না।

৪ নং নিয়ম: রেইড চলাকালে যদি কোন এ্যান্ট্রির শরীরের কোন অংশ কোর্টের বাইরের ভূমি স্পর্শ করে বা বাইরে চলে যায়  এবং  তিনি রেইডারকে ধরে ফেলেন তবে রেইডার আউট হবেন না। কোর্টের বাইরে চলে যাবার ফলে ঐ এ্যান্ট্রি আউট হবেন।

৫ নং নিয়ম: ষ্ট্রাগল শুরু হলে উভয় দিকের লবি খেলার মাঠের অন্তর্ভুক্ত অংশ হিসেবে গণ্য হবে। ষ্ট্রাগল শেষ হবার পর ষ্ট্রাগলে জড়িত খেলোয়াড়গণ নিজের কোর্টে প্রবেশের জন্য লবি ব্যবহার করতে পারেন।

৬ নং নিয়ম: রেইডার ’কাবাডি’ শব্দ জোরে উচ্চারণ করে ক্যান্ট দেবেন। যদি কাবাডি শব্দ উচ্চারণ না করে ক্যান্ট বা ডাক দেন তবে রেফারি বা আম্পায়ার তাকে নিজেরকোর্টে পাঠিয়ে সতর্ক করে দেবেন এবং বিপক্ষকে রেইড করার সুযোগ দেবেন। এমতাবস্থায় ফেরৎ যাওয়া রেইডারকে এ্যান্ট্রি দল তাড়া করতে পারবে না।

৭ নং নিয়ম: রেইডার বিপক্ষের কোর্ট স্পর্শ করার আগেই ক্যান্ট বা ডাক আরম্ভ করবেন। যদি ক্যান্ট বিলম্বে শুরু করে তবে রেফারি বা আম্পায়ার রেইডারকে নিজ কোর্টে ফেরৎ পাঠাবেন এবং সতর্ক করে দেবেন। এর ফলে বিপক্ষকে রেইড করার সুযোগ দেয়া হবে। এ অবস্থায়ও বিপক্ষ দল রেইডারকে তাড়া করতে পারবে না।

নোট: রেইডার যদি দেরিতে ক্যান্ট বা ডাক শুরু করে এবং কোন এ্যান্ট্রিকে স্পর্শ করে তাহলেও এ্যান্ট্রি আউট হবে না।

৮ নং নিয়ম: কোন রেইডারকে সতর্ক করে দেয়ার পরও যদি তিনি উল্লেখিত ৬ ও ৮ নং নিয়ম ভঙ্গ করেন তবে রেফারি বা আম্পায়ার বিপক্ষকে একটি পয়েন্ট দেবেন। তবে আইন অমান্যকারী রেইডার আউট হবেন না।

৯ নং নিয়ম: রেইডার বিপক্ষের কোর্ট পরপর তিনবার রেইড করবেন। পরপর তিনবার রেইড করার পরও যদি রেইডার কোন পয়েন্ট লাভ করতে না পারেন তবে বিপক্ষ একটি পয়েন্ট পাবে। ব্যার্থ রেইডের জন্য আম্পায়ার এই পয়েন্ট ঘোষনা করবেন এবং স্কোরশীটে চিহ্ন দিয়ে ধারাবাহিক ফলাফল রক্ষা করবেন। লোনা, বিরতির পর বা অতিরিক্ত সময়ের খেলায় এই ব্যর্থ রেইড গণ্য হবে না।

নোট: প্রত্যেক আম্পায়ার তর ডান দিকের কোর্টে অংশগ্রহণকারী খেলোযারদের এই নিস্ফল রেইড গুনবেন। দু’বার ব্যর্থ রেইড হয়ে গেলে তৃতীয়বার রেইড শুরুর আগেই আম্পায়ার তৃতীয় ও শেষ রেইড করার মধ্যে যদি একবার পয়েন্ট অর্জিত হয় তবে পুনরায় নতুন করে নিস্ফল গোনা শুরু হবে।

১০ নং নিয়ম: একজন রেইডার নিরাপদে কোর্টে ফেরার পর অথবা বিপক্ষের কোর্টে ধরা পড়ে আউট হলে বিপক্ষ দল  সেকেন্ডের মধ্যে রেইড করবে। এভাবে খেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত রেইড চলতে থাকবে।

নোট: রেফারি ও আম্পায়ার ৫ সেকেন্ডের বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।

১১ নং নিয়ম: যদি কোন রেইডার এ্যান্ট্রি দ্বারা ধরা পড়ে ষ্ট্রাগল করার পর নিজের কোর্টে নিরাপদে ফিরে আসতে পারে তবে বিপক্ষ দল তাড়া করতে পারবে না।

নোট: যদি কোন রেইডার কোন এ্যান্ট্রিকে ছুঁয়ে নিজের কোর্টে ফিরে আসে তবে তাকে তাড়া করা যাবে না।

১২ নং নিয়ম: বিপক্ষের কোর্টে একসাথে একজন রেইডার রেইড করবেন। কখনোই একজনের অধিক হবে না। যদি একাধিক রেইডার একসাথে রেইড করে তবে রেফারি তাদের সকলকে নিজের কোর্র্টে ফেরৎ পাঠাবেন এবং এ কারণে তাদের রেইড কারা সুযোগ বাতিল করে বিপক্ষকে রেইড করার সুযোগ দেবেন। এ অবস্থায় রেইডারগণ কোন এ্যান্ট্রিকে ছুঁয়ে দিলে তা কার্যকরী হবে না। এ সময় রেইডারকে তাড়া করা যাবে না।

১৩ নং নিয়ম: একসাথে একাধিক রেইডার বিপক্ষের কোর্টে হানা দিলে রেফারি বা আম্পায়ার সতর্ক করে দেবেন। সতর্ক করার পরও এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে রেফারি বা আম্পায়ার প্রথম প্রবেশকারী রেইডার ছাড়া বাকি সবাইকে ’আউট’ বলে ঘোষনা করবেন। রেফারি রেইডারদেরকে সতর্ক করবেন।



১৪ নং নিয়ম: বিপক্ষের কোর্টে হানা দেয়ার সময় কোন রেইডার ক্যান্ট বা ডাক বন্ধ করলে তিনি আউট হবেন।

১৫ নং নিয়ম: রেইডার এ্যান্টির কোর্টে ধরা পড়লে এ্যান্টিগণ রেইডারকে অবৈধভাবে (নাক মুখ আটকিয়ে আহত হতে পারে এমন কৌশল অবলম্বন করে অথবা অন্যভাবে) আটকাতে পারবে না। এমন করলে রেইডার আউট হবে না বরং এ্যান্টিকে সতর্ক করে দেবেন।

১৬ নং নিয়ম: কোন রেইডার কোন এ্যান্টিকে অথবা কোন এ্যান্টি কোন রেইডারকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দিয়ে কোর্টেও বাইরে ফেলে দিতে পারবে না। এমনি করলে রেফারি বা আম্পায়ার উক্ত খেলোয়াড়কে ’আউট’ ঘোষনা করবেন।

নোট: এ ব্যাপরে রেফারি বা আম্পায়ার যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করবেন। ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত তা লক্ষ্য করতে হবে।

১৭ নং নিয়ম: রেইডারের সফল হানা শেষে মধ্য রেখা পার হয়ে নিজের কোর্টে না ফেরা পর্যন্ত যদি কোন এ্যান্টি রেইডারের কোর্টে হানা দেয়ার জন্য মধ্য রেখা পার হয়ে বিপক্ষের কোর্টের ভূমি স্পর্শ করেন তবে তিনি আউট হন এবং তিনি যদি কোন রাইডারকে নিজের কোর্টে ধরে রাখতে সাহায্য করেন বা ধরেন তবে সেই রেইডার আউট হবেন না বরং যে এ্যান্ট্রি রেইডারের কোর্ট স্পর্শ করবেন তিনি আউট হবেন।

১৮ নং নিয়ম: নিজের পালা ছাড়া কোন রেইডার রেইডার করতে গেলে রেফারি তাকে ফেরৎ পাঠাবেন এবং সতর্ক করে দেবেন। রেইডার পক্ষ একবার সতর্কিত হবার পরও যদি ইচ্ছাকৃত দ্বিতীয়বার এ রকম অপরাধ করে তবে রেফারি বিপক্ষ দলকে একটি পয়েন্ট দিতে পারেন।

নোট: এই পয়েন্টের ফলে বিপক্ষের কোন আউট খেলোয়াড় ইন হবে না।

১৯ নং নিয়ম: একটি দল যখন বিপক্ষ দলের সব খেলোয়ড়কে আউট করতে পারবে তখন একটি লোনা পাবে। এই লোনার দুই পয়েন্ট অতিরিক্ত হিসেবে ঐ দলের মোট পয়েন্টের সাথে যুক্ত হবে। লোনার পর পুনরায় খেলা শুরু হবে এবং সকল খেলোয়াড় ১০ সেকেন্ডের মধ্যে কোর্টে প্রবেশ করবে। যে দল কোর্টে প্রবেশ করতে দেরি করবে রেফারি তার বিপক্ষ দলকে একটি পয়েন্ট দান করবেন। এরপরও কোর্টে আসতে দেরি করলে রেফারি প্রতি ৫ মিনিট অন্তর বিপক্ষ দলকে একটি করে পয়েন্ট দিতে থাকবেন খেলার শেষ সময় পর্যন্ত।

২০ নং নিয়ম: রেইডারের বিপক্ষ কোর্টে বিপজ্জনকভাবে খেলা বা নিজ দলের নির্দেশ মোতাবেক খেলার জন্য রেফারি রেইডারকে সকর্ত করে দেবেন। এর পুনরাবৃত্তি ঘটলে বিপক্ষকে একটি পয়েন্ট প্রদান করবেন।

নোট: ডবপক্ষ কোর্টে রেইডার হানা দেবার সময় শুধুমাত্র এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

২১ নং নিয়ম: একজন রেইডারের শরীর বা ধর ছাড়া অন্য কোথাও ধরা যাবে না। এই নিয়মের ব্যাতিক্রম যিনি করবেন তিনি আউট হবেন। রেইডারকে ইচ্ছাকৃত বা ন্যায়ভাবে ধরা না হয় তবে আউট হবেন না।

নোট: কোন রেইডারের কাপড় বা চুল ধরে রাখলে তিনি আউট হবেন না। পক্ষান্তরে যে এ্যান্টি কাপড় বা চুল ধরবে তিনি আউট হবেন।

২২ নং নিয়ম: খেলা চলাকালে কোন পক্ষের একজন বা দুইজন খেলোয়াড় অবশিষ্ট থাকে এবং অধিনায়ক যদি তাদেরকে আউট ঘোষণা করতে চান এবং পুরো দলকে কোর্টে নামাতে চান তবে বিপক্ষ দল আউট ঘোষণাকৃত খেলোয়াড়দের পয়েন্টসহ একটি লোনা পাবে।

নোট: কেবলমাত্র অধিনায়ক এ ঘোষণা দিয়ে সম্পূর্ণ দল মাঠে নামাতে পারেন।

২৩ নং নিয়ম: খেলোয়াড়গণ যে সিরিয়াল অনুসারে আউট হবে আবার সেই সিরিয়াল অনুসারে বিপক্ষের খেলোয়াড়দের আউট হবার পরিবর্তে কোর্টে প্রবেশ করবে।

নোট: আউট হওয়া এবং পুনরায় বেঁচে যাওয়া সিরিয়াল অনুসারে হবে। সহকারী স্কোরার এ বিষয় লক্ষ রাখবেন এবং স্কোরশীটে আউট হওয়া বেঁচে যাওয়া খেলোয়াড়দের হিসাব রাখবেন।

Tuesday, September 28, 2021

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে নিয়মিত অভ্যেস করুন এই দুই যোগাসনঃ

 

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে নিয়মিত অভ্যেস করুন এই দুই যোগাসনঃ

বর্তমানে কমবেশি সকলের জীবনে ডায়াবেটিস বা মধুমেহ অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এর জন্য দায়ি আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। বিশেষজ্ঞদের মতে ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ হল অতিরিক্ত ওজন। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে খাদ্যভ্যাস পরিবর্তনের সাথে করতে হবে নিয়মিত শরীর চর্চা অর্থাৎ নির্দিষ্ট কিছু যোগাসন। অর্ধ মৎস্যেন্দ্রাসন এবং চক্রাসন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। কারণ এই দুই আসনের নিয়মিত অভ্যেসে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। তেমনই শরীরে ইনসুলিন সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে। এক নজরে দেখে নিন এই দুই আসন করার নিয়ম ও উপকারিতা।


অর্ধ মৎস্যেন্দ্রাসন করার নিয়ম ও উপকারিতা-


অর্ধ মৎস্যেন্দ্রাসন বা হাফ স্পাইনাল টুইস্ট করতে গেলে প্রথমে সামনের দিকে পা ছড়িয়ে শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। এবার ডান পা তুলে হাঁটুর কাছ থেকে ভেঙে বাঁ পায়ের উপর দিয়ে নিয়ে বাঁ উরুর বাঁ পাশে মাটিতে রাখুন। ডান পায়ের পাতা মাটির সঙ্গে লেগে থাকবে। এবার বাঁ হাত ডান হাঁটুর পাশ দিয়ে নিয়ে ডান পায়ের আঙুল অথবা বাঁ পায়ের হাঁটু শক্ত করে ধরুন এবং ডান হাত পেছনদিক দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে বাঁ উরু ও তলপেটের সংযোগস্থলে রাখুন। এবার ডানদিকে শরীরটা মোচড় দিয়ে ঘাড় ও মাথা ডানদিকে বাঁকিয়ে ডান পিঠ দেখতে চেষ্টা করুন। এভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকুন। এরপর হাত-পা আলগা করে বসে বিশ্রাম নিন।

এভাবে নিয়মিত এই আসন চর্চা করলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। অর্থাৎ সুগার কনট্রোল করেতে ও বডির স্ট্রেস হরমোন নরমাল রাখতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। এর ফলে যে কোনো পরিস্থিতিতে শরীরে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এছাড়াও ডায়াবেটিসের পাশাপাশি এটি কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। যকৃতের যেকোনো সমস্যা দূর করে। মেরুদন্ডের দুপাশের পেশি ও স্নায়ুকেন্দ্রগুলোকে সতেজ ও সক্রিয় রাখে।

এবার জানুন চক্রাসন করার সঠিক নিয়ম ও উপকারিতার কথা-

চক্রাসন করার ক্ষেত্রে প্রথমে অর্ধ-চক্রাসনের ভঙ্গিমায় আসুন। এর পর হাতের তালুর সাহায্যে বডির উপরের অংশ তুলুন ও যতটা সম্ভব হাত দুটো দু’পায়ের গোড়ালির কাছে রাখুন বা হাতের সাহায্যে গোড়ালি ধরুন। এভাবেই ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড একই অবস্থায় থাকুন। এর পর আসতে আসতে মাথা মাটিতে ঠেকিয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে নিন।

এভাবে অর্ধ মৎস্যেন্দ্রাসনের পাশাপাশি এই আসন নিয়মিত করলে দেহের মধ্যভাগের অপ্রয়োজনীয় মেদ দূর হয়, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার ফলে কমবে ডায়াবেটিসের মাত্রা। পাশাপাশি মেরুদণ্ড-সংলগ্ন স্নায়ুমণ্ডলী ও তার পাশের পেশি সতেজ ও সক্রিয় থাকবে। এছাড়াও হৃদপিন্ড ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও নানান জটিল সমস্যা দূর হয়।

তবে এই আসন করলে বুকে চাপ পরে। সেই কারণে যাঁদের ইতিমধ্যে হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই আসন না করাই ভালো।

সুস্থ্য থাকতে যোগ ব্যায়ামঃ

 

যোগ ব্যায়ামঃ

অনেকের মতে যোগ ব্যায়াম হল এমন এক চর্চা  যার মাধ্যমে দেহের নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সঠিক চালনা, যোগাযোগ ও সুস্থতা বজায় থাকে।



যোগ ব্যায়াম হল জীবনের সাথে প্রকৃতির যোগসূত্র খুঁজে পাওয়ার একটি মাধ্যম। তাই বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি ও নিশ্বাস প্রশ্বাসের চালনা দ্বারা প্রকৃতির বাস্তবতাকে শরীরের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়। যোগ ব্যায়ামের দ্বারা প্রত্যেটি ইন্দ্রিয়কে সজাগ করে জগতের সাথে ঘনিষ্টতা আনা সম্ভব হয়। আত্মবিশ্বাস ও সাত্ত্বিকতা খুঁজে পাওয়ার জন্যে যোগাসন করা খুবই প্রয়োজনীয়।


 উপকারিতা -

  যোগাসন আমাদের পেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ—যেমন পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত্র, যকৃৎ কার্যকর করে। ফলে হজমশক্তি উন্নত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। *চাপ দূর করতে যোগাসনের বিকল্প নেই। *শরীরের রক্তসঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে যোগাসন, যার ফলে অভ্যন্তরীণ শক্তিপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে আমরা কর্ম–উদ্যমী হয়ে উঠি।

যোগাসনের অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য উপকারিতা 

অভ্যন্তরীণ ভাবে স্বাস্থ্যের উপকারিতা প্রদান করতে যোগাসনের ভূমিকা প্রবল। রক্ত সঞ্চালন থেকে শুরু করে শরীরের যেকোনো ব্যাথা বা কষ্ট কমাতে যোগ ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। আপনি যদি নিয়ম করে ২ মাস যোগাসন চর্চা করেন তাহলে অনায়সে শরীরে পরিবর্তন অনুভব করতে পারবেন।

 রক্ত সঞ্চালন:

যোগাসনের সাহায্যে শরীরে অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি সঠিকভাবে প্রবেশ করে। তাই রক্ত সঞ্চালন  সঠিকভাবে বজায় রাখা যায়। এর ফলে সমস্ত অঙ্গগুলি ঠিক করে কাজ করে ও ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আসে।

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে:

প্রতিদিন নিয়ম করে যোগাসন করলে রক্ত সঞ্চালন ও অক্সিজেনের সঠিক চালনা হওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ কমে আসে। এতে শরীর ঠাণ্ডা হয়।

শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যা কমাতে:

হাঁপানির টান বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে  যোগাসন করার অভ্যেস করুন। এতে ফুসফুসের কার্যকারিতা ধীরে ধীরে সঠিক ছন্দে আসে ও আরাম পাওয়া যায়।

গ্যাসের জন্যে ভাল:

প্রতিদিন যোগাসন করলে হজম ক্ষমতা বেড়ে যায় যার ফলে গ্যাসের সমস্যা সহজে সমাধান হয়। এছাড়া পেটের অন্যান্য সমস্যাও নিরাময় হয়।

 ধৈর্য্য শক্তি বাড়ে:

শরীরের নানারকমের ব্যাথা কমানো ছাড়াও, মস্তিস্ক শান্ত করতে সাহায্য করে যোগাসন। এর ফলে ধৈর্য্য ক্ষমতা বাড়ে ও মনের শান্তি বজায় থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে:

যোগাসন অভ্যাসের সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার যোগাযোগ রয়েছে। যোগাসনের সাহায্যে শরীরের কোষগুলি নষ্ট হওয়া রোধ করা যায় ও শরীর ধীরে ধীরে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ফিরে পায়।

 কোলেস্টরল কমে আসে: 

যোগাসনের ফলে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে ও রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। এই সব কিছুর কারণে কোলেস্টরল অনায়াসে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ও ভালো কোলেস্টরল উৎপন্ন করা যায়।

পিঠে ব্যাথা কমায়:

পিঠে ব্যাথা কমাতে দারুণ উপকারিতা প্রদান করে যোগাসন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট পিঠ সোজা করে পদ্মাসন করলে খুব শিগ্রই পিঠের ব্যাথার উপশম হয়।

Monday, September 27, 2021

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে নভেম্বর ও ডিসেম্বরেঃ

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে  নভেম্বর ও ডিসেম্বরেঃ  এ বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৪ নভেম্বর| চলবে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে ২ ডিসেম্বর। চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দুটি পরীক্ষাই হবে শুধু নৈর্বাচনিক বিষয়ে। অন্যান্য আবশ্যিক বিষয়ে আগের পাবলিক পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করে মূল্যায়নের মাধ্যমে নম্বর দেওয়া হবে।

এছাড়া, চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষাও নেওয়া হবে না। নির্ধারিত দিনে সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট এবং ২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা হবে। ২৭ সেপ্টেম্বর (সোমবার) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ দুই বড় পাবলিক পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করে।

কবে কোন বিষয়ের পরীক্ষা  (এসএসসি)


১৪ নভেম্বর:  পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত)।
১৫ নভেম্বর:  বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং হিসাববিজ্ঞান (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত)।

১৬ নভেম্বর : রসায়ন (তত্ত্বীয়) (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত)।

১৮ নভেম্বর: শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া (তত্ত্বীয়) (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত)।

২১ নভেম্বর: ভূগোল ও পরিবেশ (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং  ফিন্যান্স ও ব্যাকিং (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট  পর্যন্ত)।

২২ নভেম্বর: উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) ও জীব বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত)।

২৩ নভেম্বর: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, অর্থনীতি (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং ব্যবসায় উদ্যোগ (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট  পর্যন্ত)।



কবে কোন বিষয়ের পরীক্ষা  (এইচএসসি)

২ ডিসেম্বর: পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) ১ম পত্র (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং সাধারণ বিজ্ঞান এবং খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) ১ম পত্র (রসায়ন), সাধারণ বিজ্ঞান এবং খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) ১ম পত্র (জীববিজ্ঞান), খাদ্য ও পুষ্টি ১ম পত্র , লঘু সংগীত (তত্ত্বীয়) ১ম পত্র (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট  পর্যন্ত)।

৫ ডিসেম্বর: যুক্তি বিদ্যা ১মপত্র (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং হিসাববিজ্ঞান ১মপত্র (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট  পর্যন্ত)।

৬ ডিসেম্বর: পদার্থ বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) ২য়পত্র (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং সাধারণ বিজ্ঞান এবং খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) ২য় পত্র (খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান), খাদ্য ও পুষ্টি ২য়পত্র, লঘু সংগীত (তত্ত্বীয়) ২য় পত্র (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট  পর্যন্ত)।

৭ ডিসেম্বর: যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং হিসাববিজ্ঞান ২য় পত্র (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট  পর্যন্ত)।

৮ ডিসেম্বর: রসায়ন (তত্ত্বীয়) ১ম পত্র (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং শিশু বিকাশ ১ম পত্র, উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) ১ম পত্র (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত)।

৯ ডিসেম্বর: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ১মপত্র,  ইতিহাস প্রথম পত্র (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপনণ ১ম পত্র,  ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা ১ম পত্র (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট  পর্যন্ত)।

১২ ডিসেম্বর: রসায়ন (তত্ত্বীয়) ২য়পত্র (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং শিশু বিকাশ ২য় পত্র, উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) ২য়পত্র (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট  পর্যন্ত)।

১৩ ডিসেম্বর: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র, ইতিহাস ২য় পত্র (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপনণ ২য় পত্র, ,  ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা ২য় পত্র (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট  পর্যন্ত)।

১৫ ডিসেম্বর: জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) ১মপত্র, উচ্চতর গণিত ১মপত্র (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং গৃহ ব্যবস্থাপনা ও শিশু বর্ধন এবং পারিবারিক সর্ম্পক (তত্ত্বীয়) ১মপত্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন ১মপত্র, ইসলাম শিক্ষা ১মপত্র  (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট  পর্যন্ত)।

১৯ ডিসেম্বর: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত)।

২০ ডিসেম্বর: জীব বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) ২য় পত্র, উচ্চতর গণিত ২য় পত্র (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং গৃহ ব্যবস্থাপনা ও শিশু বর্ধন এবং পারিবারিক সর্ম্পক (তত্ত্বীয়) ২য় পত্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন ২য় পত্র, ইসলাম শিক্ষা ২য়পত্র (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত)।

২১ ডিসেম্বর: পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য়পত্র (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত)।

২২ ডিসেম্বর: ভূগোল (তত্ত্বীয়) ১ম পত্র (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং আরবি ১ম পত্র (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট  পর্যন্ত)।

২৩ ডিসেম্বর: ভূগোল (তত্ত্বীয়) ২য় পত্র (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং আরবি ২য় পত্র (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট  পর্যন্ত)।

২৭ ডিসেম্বর: অর্থনীতি ১ম পত্র (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং ব্যবহারিক শিল্পকলা এবং বস্ত্র ও পোশাক শিল্প (তত্ত্বীয়) ১ম পত্র (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত)।

২৮ ডিসেম্বর: সমাজ বিজ্ঞান ১ম পত্র, সমাজ কর্ম ১ম পত্র (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং ক্রীড়া (তত্ত্বীয়) ১ম পত্র (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত)।

২৯ ডিসেম্বর: অর্থনীতি ২য় পত্র (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং ব্যবহারিক শিল্পকলা এবং বস্ত্র ও পোশাক শিল্প (তত্ত্বীয়) ২য় পত্র (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত)।

৩০ ডিসেম্বর: সমাজ বিজ্ঞান ২য় পত্র, সমাজ কর্ম ২য় পত্র (সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) এবং ক্রীড়া (তত্ত্বীয়) ২য় পত্র (২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত)।





Saturday, September 25, 2021

প্রত্যহ এইগুলোর অভ্যাস করুন এবং সুস্থ নীরোগ দীর্ঘ জীবন লাভ করুনঃ

 

প্রত্যহ এইগুলোর অভ্যাস করুন এবং সুস্থ নীরোগ দীর্ঘ জীবন লাভ করুনঃ



‘স্বাস্থ‍্যই সম্পদ’ – এই প্রবাদ বাক‍্যটি আমরা সবাই শুনেছি। কিন্তু এই সম্পদ রক্ষার্থে আমরা ততটা আগ্রহী নই। প্রাত‍্যহিক যৌগিক ক্রিয়াদির মাধ্যমে আমরা সহজেই এই সম্পদ রক্ষা করতে পারি। সাতটি প্রাণায়াম, সাতটি সুখায়াম এবং সাতটি আসনের মাধ্যমে আমরা সুস্থ নীরোগ দীর্ঘ জীবন লাভ করতে পারি।
তিদিন ভোরে উঠে মুখভর্তি জল নিয়ে চোখে ১৫-২০ বার পরিস্কার ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিতে হবে। তারপর খালিপেটে লবন-লেবু দিয়ে কয়েক গ্লাস হালকা গরম জল খেতে হবে। এরপর প্রাতঃকৃত‍্যাদি শেষ করে কোনূ খোলা জায়গায় চাদর বিছিয়ে নিম্নলিখিত প্রাণায়াম, সুখায়ম এবং আসন একাদিক্রমে সম্পন্ন করতে হবে।
প্রথমে পদ্মাসনে বা যেভাবে পা ভাঁজ করে স্বাভাবিকভাবে বসি (বাবু হয়ে বসা ) সেভাবে বসে হাত দুটো দুই হাঁটুর উপর রেখে (তালুর উল্টো দিকটা হাঁটুতে ঠেকবে) বুড়ো আঙুল দিয়ে তর্জনী ধরে বাকি আঙুলগুলো সোজা রেখে প্রাণায়াম শুরু করতে হবে।
প্রথম- ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম : উপরোক্ত আসনে বসে শিরদাঁড়া সোজা রেখে, চোখ বন্ধ করে, মুখ বন্ধ করে, শুধু নাক দিয়ে ধীরে ধীরে জোরে শ্বাস নিতে হবে আবার নাক দিয়েই ছাড়তে হবে। যতটা সময় ধরে শ্বাস গ্রহণ করা হবে তত সময় ধরেই শ্বাস ছাড়তে হবে। যত দীর্ঘ শ্বাস গ্রহণ করা হবে ততই ভালো হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে শ্বাস নেওয়ার সময় যেন ছাতি কিছুটা স্ফীত হয়। এটা ১০মিঃ করতে হবে।
দ্বিতীয়- কপালভাতি প্রাণায়াম : একইভাবে বসে প্রথমে নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে, নাক দিয়ে, নাক দিয়েই অনবরত ফোঁ, ফোঁ করে শ্বাস ছাড়তে হবে। মুখ বন্ধ থাকবে। শ্বাস নিতে হবে না। কেবলমাত্র শ্বাস ছাড়ার দিকেই নজর রাখতে হবে। শ্বাস এমনিই নেওয়া হয়ে যাবে। এটা করতে করতে হবে সেকেন্ডে একবার করে অন্ততঃ ১০মিনিট। হার্টের রুগীরা মিনিটে চল্লিশবার। প্রথম প্রথম একটানা করা যাবে না। অল্প সময় ধরে করতে হবে। আর মাঝে কয়েক সেকেন্ড করে স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস নিতে হবে। তারপর আবার কপালভাতি করে যেতে হবে। এই প্রাণায়াম করার সময় কাঁধ ঝাঁকানো চলবে না, ঘাঢ় সোজা থাকবে। কাঁধে, হাতে কোনো চাপ না পড়ে। স্বাভাবিকভাবে করতে হবে। শারীরিক অসুবিধের সময় এই প্রাণায়াম করা যাবে না।


তৃতীয়- বাহ‍্য-প্রাণায়ম :  উপরোক্ত আসনে বসে নাক দিয়ে পূর্ণ শ্বাস নিয়ে তারপর সম্পূর্ণ শ্বাস দেহের বাইরে ছেড়ে ‘ত্রিবন্ধ’ করতে হবে। অর্থাৎ শ্বাস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মলদ্বার উপরের দিকে খিঁচতে হবে,  পেট ভিতরে টানতে হবে, থুতনি বুকে ঠেকাতে হবে। এই তিনটি কাজ একসঙ্গে করে দমবন্ধ অবস্থায় যতক্ষণ সম্ভব থাকতে হবে। শ্বাস নিতে নিতে আগের অবস্থায় আসতে হবে। এটা অন্ততঃ পাঁচবার করতে হবে।
এই প্রাণায়াম চৌদ্দ বছরের কম বয়সীরা করবে না। আর শরীর অসুস্থ থাকলেও করা যাবে না।

চতুর্থ – অনুলোম বিলোম :  আগের মতো আসনে বসে বাঁ হাতে হাঁটুর উপর রেখে ডান হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে ডান নাক চেপে বাঁ নাক দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। তারপর ডান হাতের মধ্যমা- অনামিকা দিয়ে বাঁ নাক চেপে ডান নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়তে হবে। শ্বাস নেওয়া হলে ডান নাক চেপে বাঁ নাক দিয়ে ছাড়তে হবে। সঙ্গে সঙ্গে বাঁ নাক দিয়ে শ্বাস গ্রহণ করতে হবে। ডান হাতের কনুই কাঁধ বরাবর থাকবে। নাকের কাছে হাতের তালু যেন আড়াল না করে। এভাবে শ্বাস নেওয়া- ছাড়া দীর্ঘায়িত করে একটানা ১০ মিনিট করতে হবে। শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার সময় কোনো শক্তি প্রয়োগ চলবে না। স্বাভাবিকভাবে করতে হবে।

পঞ্চম- ভ্রামরি প্রাণায়াম : পূর্বের মতো আসনে বসে, চোখ বন্ধ করে, শিরদাঁড়া সোজা রেখে দুই হাতের বুড়ো আঙুল দুই কানের ভিতর চেপে রাখতে হবে। দুই হাতের তর্জনী কপাল স্পর্শ করবে আর বাকি তিনটে আঙ্গুল চোখের উপর আলতো করে স্পর্শ করে থাকবে। এই অবস্থায় মুখ বন্ধ করে নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে মুখ বন্ধ রেখেই ‘ওঁ’ উচ্চারণ করতে হবে। যতটা সম্ভব দীর্ঘায়িত শ্বাস নিতে হবে। দাঁতের পাটি পরস্পর চেপে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অন্ততঃ পাঁচবার এই প্রক্রিয়া করতে হবে।

ষষ্ঠ- উদগীথ প্রাণায়াম : একইভাবে সোজা হয়ে বসে হাঁটুর উপর দুই হাত রেখে চোখ ও মুখ বন্ধ করে নাক দিয়ে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ‘ওঁম’ উচ্চারণ করতে করতে শ্বাস ছাড়তে হবে। ধীরগতিতে শ্বাস গ্রহণ ও শ্বাস ত্যাগ করতে হবে। কমপক্ষে পাঁচবার করতে হবে।

সপ্তম – উজ্জয়ী : একই আসনে বসে , মুখ বন্ধ রেখে, গলাটা ভেতরে চেপে ( অর্থাৎ শ্বাসটা গলার মধ‍্য দিয়ে যাবে না) শুধু নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে ভেতরে খানিকক্ষণ রেখে ডান নাক চেপে বাঁ নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়তে হবে ধীরে ধীরে। কমপক্ষে পাঁচবার করতে হবে।
এই প্রাণায়াম না করতে পারলে ‘ সিংহাসন ‘ করা যাবে, যার উপকারিতা একই।

সিংহাসন : বজ্রাসনে বসে হাঁটু দুটো এক ফুট – এর মতো ফাঁকা করতে হবে। পিছনে পা দুটো এমনভাবে রাখতে হবে যাতে গোড়ালীতে চাপ না পড়ে আর পায়ের বুড়ো আঙ্গুল দুটো পরস্পর স্পর্শ করে থাকে। এরপর দুটো হাত হাঁটু দুটোর ফাঁকে একটু ভেতরে দিকে মাটিতে রাখতে হবে। তালু মাটিতে থাকবে, আঙুলগুলো ভিতরের দিকে থাকবে। এই অবস্থায় নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে ঘাঢ় পিছনে দিকে হেলিয়ে মুখ হাঁ করে, জিভ বের করে ‘অ‍্যা’ ‘অ‍্যা’ করে শ্বাস ছাড়তে হবে। পাঁচ-সাত বার করতে হবে।

যেসব খাবার আপনাকে দীর্ঘজীবন সুস্থ্য রাখবেঃ

 যেসব খাবার আপনাকে দীর্ঘজীবন সুস্থ্য রাখবেঃ



প্রতিটি মানুষই অনাদি-অনন্তকাল বেঁচে থাকতে চায়।তবে,অসুস্থ হয়ে অনাদি-অনন্তকাল বেঁচে থাকার চাইতে সুস্থভাবে বেঁচে স্বাভাবিক জীবন  নিয়ে বেঁচে থাকাটা অনেক জরুরি।আর,দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে আমাদের জানতে হবে কোন খাবারগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তবে,শুধু পুষ্টিকর খাবার খেলে সুস্থ থাকা বা দীর্ঘজীবী হওয়া সম্ভব নয়। নিয়মিত,শারীরিক পরিশ্রম,পুষ্টিকর খাবার গ্রহন,অতিরিক্ত চিন্তা পরিহার করা,পর্যাপ্ত বিশ্রাম এই ব্যাপার গুলোকে ও সমন্বয় সাধন করতে হবে। সুস্থ এবং নীরোগ থাকতে হলে নিচের খাবার গুলো নিয়মিত আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন:

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার-


 
যারা দীর্ঘজীবন পেতে চান তাদের উচিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এজন্য গুরুত্বপূর্ণ যে,তারা ফ্রি র‍্যাডিকেল কে নিষ্ক্রিয় করে আমাদের দেহকে বিপদমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। দেহে,অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অভাব হলে ফ্রি র‍্যাডিকাল আমাদের দেহের কোষকে আক্রমন করে।ফলে নির্দিষ্ট কিছু রোগ যেমন: ক্যান্সার এবং আমাদের বয়স বাড়ার প্রক্রিয়া দ্রুত হয়ে যায়।এজন্য,আমাদের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে বিভিন্ন রঙের শাকসবজি এবং ফলমূল খেতে হবে যেন আমাদের দেহে ফ্রি র‍্যাডিকালকে প্রতিরোধ করার মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কোন অভাব না হয়।

বিন জাতীয় খাবার-



 বিন জাতীয় খাবার হল অনেকটা নিউট্রেশন পাওয়ার হাউজের মত। বিনে থাকা ফাইবার আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।পাশাপাশি,ওবেসিটি,ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।সপ্তাহে,২-৩ দিন আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন বিন জাতীয় খাবার।

শাকসবজি-



শাকসবজি মানেই হল ফাইবার,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,ভিটামিন এবং মিনারেলস।অর্থাৎ,শরীরের জন্য দরকারি সব পুষ্টি উপাদান আছে শাকসবজিতে।গাড় সবুজ রঙের শাকসবজিতে রয়েছে ভিটামিন- কে যা হাড়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গাজর এবং মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন-এ যা চোখের সুরক্ষা এবং ইনফেকশন প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর,প্রতিদিনের২৫-৩৫ গ্রাম ফাইবারের চাহিদা পূরণের জন্য শাকসবজি গ্রহণের বিকল্প নেই।

প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম-



সুস্থ এবং নীরোগ থাকতে প্রতিদিন কিছুটা হলেও বাদাম খাওয়া উচিত।তবে,এক রকম বাদাম না খেয়ে মিক্স বাদাম খাওয়া ভাল। কারণ,এক এক ধরনের বাদাম এক এক গুনে অনন্য। কাঠ বাদামে রয়েছে প্রোটিন,ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন-ই,ব্রাজিল নাটে রয়েছে ফাইবার এবং সেলেনিয়াম।সারাদিনে মাত্র ২ টি ব্রাজিল বাদামে পূরণ হবে ১০০%আর ডি আই অব সেলেনিয়াম। কাজুবাদামে রয়েছে নন হিম আয়রন,আখরোটে রয়েছে আলফা লিনোলিক এসিড,প্লান্ট ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।বুঝতেই পারছেন বাদাম থেকে একাধারে-ভিটামিন,মিনারেরলস,ফ্যাট,প্রোটিন,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যাবে।তবে,সারা দিনে ৩০ গ্রামের বেশি বাদাম গ্রহণ নয়।


হৃদরোগ প্রতিরোধে কী করবেনঃ

 

হৃদরোগ প্রতিরোধে  কী করবেনঃ

একটা সময় পর্যন্ত মনে করা হত, মেয়েদের হার্ট অ্যাটাক হয় না সাধারণত। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে বদলে গিয়েছে সেই ধারণা৷ এখন বহু কম বয়সি মহিলাও হৃদরোগে আক্রান্ত হন৷



‘‘স্ত্রী হরমোনের প্রভাবেই সাধারণত মেয়েদের হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে। কিন্তু ইদানীং দুনিয়া বদলেছে। বিশেষ করে মেয়েদের জীবনে তৈরি হয়েছে নানা ধরনের অনিশ্চয়তা। সম্পর্ক খুব তাড়াতাড়ি ভেঙে যাচ্ছে, চাকরিবাকরির নিশ্চয়তাও সেই অর্থে নেই৷ ঘর-বাইরে দুটো দিকই একজন মহিলা অনায়াসে সামলাতে পারেন, এমন একটা বিশ্বাস সমাজে প্রচলিত আছে এবং সেটা মেনে চলতে গিয়ে অসম্ভব চাপ নিতে হয় মেয়েদের৷ তাঁরা নিজেদের খেয়াল রাখার সময় পান না৷ এই সব নানা কারণে মেয়েদের হরমোনের ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে বন্ধ্যাত্ব। প্রচুর মহিলা আজকাল ধূমপানও করেন। ফলে হার্টের অসুখের আশঙ্কাও অনেকটাই বেড়েছে। যদি কারও পরিবারে করোনারি আর্টারি বা ইসকেমিক হার্ট ডিজ়িজ়ের ইতিহাস থাকে এবং দেখেন যে বুকে কোনও সমস্যা হচ্ছে, রাতে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে অস্বস্তিতে, আবার খানিক বাদে সেটা আপনিই চলে যাচ্ছে, হাত-পা ফুলছে, নিশ্বাসের কষ্টের মতো কোনও একটি সমস্যাও হচ্ছে, তা হলে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন,’’ বলছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শুভানন রায়৷ হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে মেনে চলুন নিচের নিয়মগুলি৷

ময়দা, সাদা চালের ভাতের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন না: সরল শ্বেতসারের বদলে আপনার রোজের খাদ্যতালিকায় রাখুন লাল চালের ভাত, ব্রাউন ব্রেড৷ এতে শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে, ফাইবারের জোগানও বৃদ্ধি পায়৷

প্রতিদিন প্রাতরাশে ওটমিল খান: ওটমিলে উপস্থিত সলিউবল ফাইবার ও বিটা গ্লুকন নিয়ন্ত্রণে রাখে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল৷ ওটের সঙ্গে সঙ্গে কলা, আপেল, আঙুল, আখরোট, আমন্ডের মতো ফল ও বাদাম খেতে পারলে আরও ভালো হয়৷

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল: যে কোনও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডান্ট, তার ফলে ট্রাইগ্লিসারাইড ও ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে, ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়৷

খাদ্যতালিকায় রাখুন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার: সামুদ্রিক মাছ ও ফ্ল্যাক্সসিড ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ ও আপনার হার্ট সুস্থ রাখতে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে৷

ব্যায়াম করুন, স্ট্রেস রাখুন নিয়ন্ত্রণে: প্রতিদিন ব্যায়াম করুন৷ স্ট্রেসের মাত্রা কখনওই বাড়তে দেবেন না৷ দরকারে মনোবিদের পরামর্শ নিতে পারেন৷ ওজন যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে সব সময়ে৷

ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন: ধূমপান ও মদ্যপান শুধু হার্ট নয়, আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের পক্ষেই খুব একটা ভালো নয়৷ ইচ্ছে হলে বরং দু’ পাত্র ওয়াইন পান করতে পারেন মাঝে-মধ্যে৷ বিশেষ করে রেড ওয়াইনের সাপোনিন কোলেস্টেরল কমাতে কার্যকর৷

Monday, September 20, 2021

ব্যায়ামে দড়ি লাফের কার্যকারিতা বেশিঃ

ব্যায়ামে দড়ি লাফের কার্যকারিতা বেশিঃ  নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীরচর্চা করেন তাঁদের অনেকেই এক বাক্যে স্বীকার করে নেন, ‘কার্ডিও’ নামে পরিচিত শরীর গরম করার ব্যায়াম হিসেবে দড়ি লাফ বেশ কার্যকর। অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মতে, অন্য যে কোনও কার্ডিওর চেয়ে দড়ি লাফের কার্যকারিতা বেশি। 



 গবেষকেরা যা বলেন-

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, মাত্র ১০ মিনিট দড়ি লাফে স্বাভাবিক গতিতে এক মাইল দৌড়ানোর চেয়ে বেশি ক্যালরি পোড়ে। আর ৩০ মিনিট দড়ি লাফে প্রায় ৫০০ ক্যালরি পোড়ে। আর ওজন বেশি ব্যক্তিদের একই সময় দড়ি লাফে ক্যালরি পোড়ে আরও বেশি।

স্বাস্থ্য ও শারীরিক শিক্ষাবিষয়ক মার্কিন সংগঠন আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর হেলথ, ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিক্রিয়েশন-এর গবেষণা সাময়িকীতে ২০১৩ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছয় সপ্তাহ প্রতিদিন ১০ মিনিট দড়ি লাফ করেন এমন কলেজ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যগত যে উন্নতি হয়, একই উন্নতি করতে হলে শিক্ষার্থীদের ছয় সপ্তাহে প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে জগিং করতে হবে। এখানে উল্লেখ্য, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের চিকিৎসকেরাই শরীর সুস্থ ও সবল রাখার জন্য প্রতিদিন ৩০ মিনিট জোরে হাঁটা অথবা জগিং করতে বলেন।

একই গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দড়ি লাফে অনেক ক্যালরি পোড়ে এবং শরীরের যেমন শক্তি বাড়ে, তেমনই হাড় মজবুত হয়। এ ছাড়া দড়ি লাফ শরীরে আঘাত পাওয়া এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া উভয় ঝুঁকিই কমায়।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চাঃ

 ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা ঃ

রূপচর্চা কমে বেশি সকলে আমরা করে থাকি। কিন্তু আগের মতো রূপের যত্ন করা যায় না। বর্তমানের ব্যস্ত দিনে আর আগের মতো রূপচর্চা করা হয়না। আর এই অবহেলার ফলে ত্বক আর আগের মতো সুন্দর নেই। খেয়াল করলে দেখা যায় আমাদের দাদী নানীর ত্বক অনেক সুন্দর ও টান টান। কেননা তারা সেই সময় কোনো ক্যামিকেল উপাদান ব্যবহার করেন নি। তারা সবসময় ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেছেন। তাই তাদের ত্বক আজও সুন্দর ও উজ্জ্বল। কিন্তু আমরা এখন অলসপ্রিয় জাতির ক্যামিকেল যুক্ত ঔষধ ব্যবহার করতে করতে আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য ও কমে যায়। আর অল্প বয়সে ত্বকের চাপ পড়ে যায়। এইসকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের আবার সেই আগের মতো ঘরোয়া উপায় পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। আসুন জেনে নেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা করার উপায়।

 


১।এলোভেরা জেল রূপচর্চার প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ত্বকের যত্নে এলোভেরা জেল বিশেষভাবে উপকারী। এলোভেরা গাছের পাতার জেল মুখের কালো দাগ থেকে মুক্তি করে আবার জেল মুখে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। আবার অন্য দিকে ব্ল্যাক হেডস দূর করে। আবার ত্বককে পরিষ্কার করে ত্বকের লোমকূপ গুলো খুলে দেয়।তবে এলোভেরা দিয়ে ফেস প্যাক ও বানাতে পারেন।পরিমাণ মতো এলোভেরা জেল নিয়ে তাতে বাদাম গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এই পেস্ট এবার মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তারপর ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ঘরোয়া উপায়ে এলোভেরা দারুণ যত্ন নেয়।

 

২।লাইকোপেন নামক উপাদান সমৃদ্ধ হলো টমেটো। যা আমাদের ত্বকের মৃত কোষকে সরিয়ে ফেলে আর ত্বকের লোমকূপ গুলো পরিষ্কার করে। ত্বকের দাগ দূর করতে এই টমেটো দারুণ কাজ করে। ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে এই লাইকোপেন উপাদান বিশেষ কাজ করে। পরিমাণ মতো টমেটো কে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন এর সাথে ২চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রনটি ২০ থেকে ২৫ মিনিট মুখে রেখে দিন। তারপর শুকিয়ে গেলে টান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। হাতের কাছে টমেটো আমাদের ঘরোয়া ভাবে ত্বকের যত্ন নিতে দারুণ কাজ করে।

 

৩।ডিমের ফেস প্যাক আমরা কম বেশি সকলেই জানি। ত্বক ফর্সা করতে ডিমের কোনো বিকল্প নেই। সহজ উপায়ে ডিম আমরা হাতের কাছে পেয়ে থাকি। একটি বাটিতে ডিম নিয়ে সেটিকে ফাটিয়ে ভালোভাবে কুসুম আর সাদা অংশ মিশিয়ে নিন। এরপরে সেই মিশ্রনটি ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শুকিয়ে গেলে মুখ ভালোভাবে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

 

৪।আমের খোসার ফেস প্যাক বর্তমানে তেমন কোথাও দেখা যায় নি। অথবা কেউ না শুনেই থাকবেন। আগের কালে ফেস প্যাকে আমের খোসা ব্যবহার করতেন। আম যেমন দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে মজা তেমনি আমের খোসার সাথে দুধ মিশিয়েও ত্বকের ফেস প্যাক বানানো যায়। এক্ষেত্রে আমের খোসার ফেস প্যাক বানাতে আপনি পরিমাণ মতো দুধ নিন এবং এর সাথে আমের খোসা নিয়ে একসাথে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এই ব্লেন্ড করা পেস্ট টি মুখে, গলায়, ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। দেখবেন কয়েকদিন নিয়মিত এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক অনেক সুন্দর হবে।

 

৫।ত্বকের যত্নে আর ত্বকে গোলাপি ভাব আনতে গোলাপ জল দারুণ কাজ করে। গোলাপ জল আমাদের ত্বক পরিষ্কার করে। আগের কালে গোলাপের পাঁপড়িকে পানিতে ভিজিয়ে সারারাত রেখে দিত পরের দিন সকালে সেই পানি গোলাপ জল হিসেবে ব্যবহার করত। কিন্তু বর্তমানে রেডিমেট গোলাপ জল পাওয়া যায়। এই জক মুখের ত্বক সুন্দর আর পরিষ্কার রাখে।

সূত্র ঃ বিউটি টিপস বাংলা


ত্বকের যত্নে পুদিনাপাতাঃ

ত্বকের যত্নে পুদিনাপাতাঃ পুদিনা পাতায় থাকা স্যালিসিলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ ত্বকের তেলক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ ফেটে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে ও এতে দাগ হয়ে যায়। পুদিনা পাতার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য ত্বকের প্রদাহ রোধ করে এবং ব্রণ দূর করে। পুদিনা পাতার পেস্ট ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখলে ত্বকের সূক্ষ্ম ছিদ্রগুলোও পরিষ্কার হবে।



ত্বকের উজ্জ্বলতা

পুদিনা পাতা অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসেবে কাজ করে যা ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। এটি কোষের ছিদ্র থেকে ময়লা দূর করে এবং কোমলতা ফিরিয়ে আনে। পাশাপাশি ত্বকের রক্ত ​​সঞ্চালন দ্রুত করে। বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখাও দূর করে। এর জন্য মুখে পুদিনা পাতার প্যাক লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট রাখুন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

পুদিনার অ্যান্টি-সেপটিক বৈশিষ্ট্য ত্বকে দাগ ও ফুসকুড়ি হতে দেয় না। সরাসরি সূর্যের আলোতে দীর্ঘ সময় ধরে ত্বকের ক্ষতিও কমায় পুদিনার রস। এরজন্য অন্তত প্রতিমাসে একবার ত্বকে পুদিনা পাতার রস মাখুন।



Thursday, September 16, 2021

সিস্টেমটাকে দোষী দাবি করছেন জিমন্যাস্ট সিমন বাইলসেরঃ

 সিস্টেমটাকে দোষী দাবি করছেন জিমন্যাস্ট সিমন বাইলসেরঃ সাবেক চিকিৎসক ল্যারি নাসেরের যৌন হয়রানির ঘটনায় গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে সাক্ষ্য দিয়েছেন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ী জিমন্যাস্ট সিমন বাইলস। এসময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি ল্যারি নাসেরকে দোষী দাবি করছি, একই সাথে পুরো সিস্টেমটাকেও। এই সিস্টেমের জন্যেই আমরা এমন দুর্ভাগ্যজনক আচরণের শিকার হয়েছি এবং নাসেরের মতো দুর্বৃত্ত তার অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করে গেছে দিনের পর দিন।’



সিনেটে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় সিমনের পাশে ছিলেন তার সাবেক সতীর্থ আলি রেইসমান ও ম্যাককাইলা ম্যারোনি। যক্তরাষ্ট্র জিমন্যাস্ট দলের চিকিৎসক নাসেরের বিরুদ্ধে ৩৩০ এর বেশি নারী খেলোয়াড়ের যৌন হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।এফবিআইয়ের পরিচালক ক্রিস্টোফার রে সিনেটে হাজির ছিলেন। যৌন হয়রানির অভিযোগ পেয়েও এফবিআইয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিয়ে কালক্ষেপণ করেছেন- এমন অভিযোগ রয়েছে। এতে আরও কয়েকমাস অপকর্ম চালিয়ে যেতে সমর্থ হন নাসের। এ ঘটনায় এক অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অপর অভিযুক্ত কর্মকর্তা বহু আগে অবসর নিয়েছেন। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষমা চেয়েছেন ২০১৭ থেকে এফবিআইয়ের পরিচালকের দায়িত্বে থাকা ক্রিস্টোফার রে।

সূত্র : বিবিসি

Wednesday, September 15, 2021

Gillette Fusion5 Men’s Razor Handle + 4 Blade Refills

 Gillette Fusion5 Men’s Razor Handle + 4 Blade Refills



About this item

  • REFILLS FIT ALL GILLETTE 5-BLADE RAZOR HANDLES (excluding GilletteLabs)
  • LUBRICATION STRIP fades when you are no longer getting an optimal shave
  • 5 ANTIFRICTION BLADES provide a shave you can barely feel
  • SOFT MICROFINS help to smooth and stretch skin before the razor blades preparing hairs to be cut
  • UP TO 1 MONTH of shaves with each refill
Product Link- https://amzn.to/3hVTc5x

পেপ গার্দিওলার সিটি অধ্যায়ঃ

 পেপ গার্দিওলা সিটি অধ্যায়ঃ বর্তমান বিশ্বের ক্লাবগুলোর সেরা কোচদের তালিকা করলে সেখানে গার্দিওলা থাকবেন উপরের সারিতেই। তার কোচিং ক্যারিয়ারে ...