ই-কমার্স নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই: কথাই আছে কারো পৈষমাস কারো সর্বনাশ ,করোনাভাইরাস মহামারীকালে দেশে একের পর এক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গজিয়ে ওঠে, তাদের লোভনীয় নানা অফার দেখে পণ্য কিনতে মানুষের হিড়িকও পড়ে। কিন্তু চাহিদার পণ্য না পেয়ে অনেকেই এখন দ্বারস্ত হয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে
সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আলোচিত ইভ্যালির বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠার ৩ বছর না যেতেই তাদের বিরুদ্ধে ৪ হাজার ৯৩২টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
সম্প্রতি আলোচনায় আসার আগেই ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ৩৮টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। এরপর কয়েক সপ্তাহে তাদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে।
বাবুল কুমার সাহা বলেন, “এখন আমরা হিসাব করার সময় পাচ্ছি না। পুরোনো অভিযোগ সমাধানের পর এগুলো দেখব।”
নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে ১০টি, ফাল্গুনিশপের বিরুদ্ধে ৫৯৯টি (৪৩৫টি মীমাংসিত), প্রিয়শপের বিরুদ্ধে ৫৬২টি (৪১৩টি মীমাংসিত) অভিযোগ এসেছে।
পুরনো প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দারাজের বিরুদ্ধে ১০১৯টি (৯৪৫টি মীমাংসিত), সহজ ডটকমের বিরুদ্ধে ৯৩টি (৮৫টি মীমাংসিত), আজকের ডিলের বিরুদ্ধে ১৭৭টি (১৬৫টি মীমাংসিত), ফুডপান্ডার বিরুদ্ধে ২৬১টি (২২৫টি মীমাসিত), চালডালের বিরুদ্ধে ১৮৩টি (১৬২টি মীমাংসিত) জমা পড়ে অধিদপ্তরে।
অভিযোগগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই নির্ধারিত সময়ের ২/৩ মাস পরও পণ্য বুঝে না পাওয়া নিয়ে। এর বাইরে ‘চেক ডিজঅনার’ হওয়া, ‘রিফান্ডের’ টাকা ফেরত না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু “কোনো কোনো ক্রেতা ৬৫ লাখ টাকার অর্ডার করেছে বলে আমরা জানতে পারলাম। এক ব্যক্তি সরকারি চাকরি করে পাওয়া পেনশনের সব টাকা ই-অরেঞ্জের পণ্য কেনার জন্য দিয়েছেন।
“কোনো বাইক বা পণ্য কেনার ক্ষেত্রে প্রতারিত ক্রেতারা ‘বাইক ধরা’ শব্দটি ব্যবহার করছে। এসব কিছু দেখে আমাদের মনে হয়েছে, এটা কোনো স্বাভাবিক ব্যবসা বা কেনাকাটা নয়। এটা সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক এবং অনৈতিক।”
No comments:
Post a Comment